মণিপুরি বিজ্ঞান প্রজন্ম । একটা লালিত স্বপ্ন, একটা প্রাণের আঙিনা, একটা আত্মিক বন্ধন । "বিজ্ঞানর নুঙেইপাহান হারপিক, হারৌ অয়া বিজ্ঞান হিকিক -Let's know the pleasure of science, lets learn the spirit of science." - শ্লোগান সামনে রেখে ২০১৫ সালের ২৪-২৫ নভেম্বর প্রথম বিজ্ঞান উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে মণিপুরি বিজ্ঞান প্রজন্ম। শাশ্বত বিজ্ঞানের অভিনব অবদানকে সামনে রেখে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে উঠে আসা নবজাগ্রত ধারণার সাথে নিজেদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির আত্মিক মেলবন্ধন তুলে ধরতে কিছু তরুণ প্রাণের অাশা-প্রত্যাশার সমন্বয়কে বাস্তব রূপ দান করাই আমাদের মণিপুরি বিজ্ঞান প্রজন্মের অগ্রযাত্রার প্রাথমিক প্রতিশ্রুতি।
প্রেক্ষাপট: মণিপুরি বিজ্ঞান প্রজন্ম কখনোই সমাজ সংস্কার তথা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নিমিত্তে গড়ে উঠা কোন সংগঠন না।গতানুগতিক প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে বিজ্ঞান চর্চার একটি প্লাটফর্ম তৈরীতে কয়েকজন সমমনা মানুষের সম্মিলিত আবেগ ও যুক্তি থেকেই মণিপুরি বিজ্ঞান প্রজন্মের জন্ম। তাই মণিপুরি বিজ্ঞান প্রজন্মকে আমরা একটা 'সংগঠন' বলার চেয়ে একটা 'দল' বলতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। সেই যেদিন থেকে আমরা একটা প্রজন্মের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি, একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে রাতজাগা কর্মব্যস্ততায় মেতেছি একসাথে, সূর্যালোকে সেটা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছি - ঠিক সেদিন থেকেই আমরা একটা দল ! আর আমাদের একটা মিলিত স্বপ্ন আছে। সেটাকে ভালোবেসে আমরা নাম দিয়েছি "মণিপুরি বিজ্ঞান প্রজন্ম" ।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য : 'মণিপুরি বিজ্ঞান প্রজন্ম' এর কাজ কি? সহজ ভাষায় – ‘মণিপুরি বিজ্ঞান প্রজন্ম’ বিজ্ঞান শেখাই না, বিজ্ঞান শেখানোর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে । আমরা বিজ্ঞানশিক্ষার সেই আনন্দটুকু শেখাতে চাই যেটা আমরা পাই নি । আমরা চাই, অন্তত আরেকটু উৎসাহ নিয়ে ওরা বিজ্ঞানের যন্ত্রপাতি নেড়েচেড়ে দেখুক । বিজ্ঞানকে দূর থেকে না, খুব কাছ থেকে চেয়ে দেখুক, আপন ভাবুক । শুধুমাত্র পরীক্ষা পাশের জন্য না, বিজ্ঞানসম্মতভাবেই বিজ্ঞান শিখুক । কে জানে, নীরব-নিভৃতে শেষ বেঞ্চে বসা থাকা ছেলেটির মধ্যেই লুকিয়ে আছে হয়তো ভবিষ্যতের আরেকজন বিজ্ঞানী যে কোন এক অভাবনীয় আবিষ্কারে তোলপাড় করে দেবে গোটা বিশ্ব ! চটপটে ওই মেয়েটিই ব্ল্যাকহোল নিয়ে এক গবেষণায় কোন এক নতুন সূত্র আবিষ্কার করে চ্যালেঞ্জ করবে প্রচলিত সব ধ্যান-ধারণাকে ।
স্বেচ্ছাসেবক নির্বাচন ও নিবন্ধন: বিজ্ঞানচর্চার প্লাটফর্ম তৈরিতে বিজ্ঞানমনস্ক স্বেচ্ছাসেবক একত্রীকরণে ২০২০ সাল পর্যন্ত চলবে মণিপুরি বিজ্ঞান প্রজন্মের পরীক্ষামূলক সিজন। এর আগপর্যন্ত মণিপুরি বিজ্ঞান প্রজন্মের স্বেচ্ছাসেবক ফর্ম সংগ্রহ করে নির্দেশিত শর্তসাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া (পাবলিক/প্রাইভেট/জাতীয়) যেকোন শিক্ষার্থী মণিপুরি বিজ্ঞান প্রজন্মের সদস্য হতে পারবে। উল্লেখ্য যে, মণিপুরি বিজ্ঞান প্রজন্মে কোন সাংগঠনিক পদ নেই। প্রত্যেক কর্মসূচীতে মহাপরিচালক ও পরিচালক কর্তৃক নির্ধারিত সাময়িক কমিটি দ্বারা উক্ত কর্মসূচি পরিচালনা করা হয়। কর্মসূচিসমূহ (২০১৫-২০১৮):
১) বিজ্ঞান উৎসব, ২০১৫। ২) পদার্থবিজ্ঞান ও আইসিটি কর্মশালা, ২০১৬। ৩) বিজ্ঞান উৎসব, ২০১৬। ৪) জ্যামিতি ক্যাম্পেইন, ২০১৬। ৫) বিজ্ঞান উৎসব, ২০১৭ ।
৬) ৩৮ তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় অংশগ্রহণ। ৭) দ্বিতীয় জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে 'মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কুইজ ও খেলাধূলা,২০১৭। ৮) পদার্থ বিজ্ঞান কর্মশালা,২০১৭। ৯)৩৮ তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় অংশগ্রহণ। ১০) বিজ্ঞান উৎসব, ২০১৮। ১১) শহীদ সুদেষ্ণা কুইজ ও বিতর্ক প্রতিযোগীতা,২০১৮। ১২) রুবিকস কিউব ও সুডুকু মেলানো প্রতিযোগীতা ১৩) ত্রিকোণমিতি ও এইচ.টি.এম.এল. ক্যাম্পেইন,২০১৮। ১৪) আইসিটি ক্যাম্পেইন,২০১৮।
অর্থের উৎস: মণিপুরি বিজ্ঞান প্রজন্ম পরিচালিত সকল কর্মসূচির অর্থ সংগ্রহের গুরু দায়িত্ব বহন করেন প্রজন্মের মহাপরিচালক ব্রজেন্দ্র কুমার সিংহ ও পরিচালক সুজিত সিংহ। শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন ফী থেকে প্রয়োজনীয় অর্থের সামান্য অংশ উঠে আসে। এরপর বিজ্ঞানমনস্ক নিজ নিজ সহপাঠী,বিভিন্ন ব্যক্তিগত/সামাজিক সংগঠন ও সমাজের গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের আর্থিক সহযোগীতায় মেগাইভেন্ট বিজ্ঞান উৎসবের একাংশ যোগাড় করা হয়। বাকি অংশ ও প্রজন্মের বিভিন্ন ক্যাম্পেইন,কর্মশালা,প্রতিযোগীতা ইত্যাদির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ মহাপরিচালক,পরিচালক ও প্রজন্মের স্বেচ্ছাসেবকরা নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সরবরাহ করেন।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
১. মণিপুরি বিজ্ঞান প্রজন্ম এর নিজস্ব অফিস, ওয়েবসাইট ও মোবাইল ফোন এপ প্রতিষ্ঠা।
২.কমলগঞ্জের প্রত্যেক স্কুলকে 'প্রজন্ম বক্স' উপহার দেওয়া। শিক্ষার্থীরা তাদের বিজ্ঞানবিষয়ক চিন্তা,লেখা কিংবা প্রশ্নের উত্তর চেয়ে প্রজন্ম বক্সে পোস্ট করতে পারবে।
৩. মণিপুরি বিজ্ঞান প্রজন্ম এর অধীনে রক্তদান ও মেডিকেল সার্ভিসজনিত এন্ড্রয়েড এপ ' MBP LIFE' ও মণিপুরি সংস্কৃতি ও কুসংস্কার এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখাজনিত এপ "Root Square" প্রতিষ্ঠা।
৪. বিভিন্ন প্রজেক্ট নির্মাণে শিক্ষার্থীদেরকে দিকনির্দেশনাসহ উপকরণ সরবরাহ করে দেওয়া।
৫. শিক্ষার্থীরের নিয়মিত বিজ্ঞানচর্চা ও অনুশীলনের জন্য নিজস্ব ল্যাবরেটরি ও একটি বিজ্ঞান জাদুঘর প্রতিষ্ঠা।
অর্জন ও সম্মাননা:
বিজ্ঞান উৎসবের তৃতীয় আসরে প্রধান অতিথি হিসেবে দেশবরেণ্য বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের আগমন ও স্যার কর্তৃক শিক্ষার্থীদের প্রায় দেড় ঘন্টার সেশন সম্পন্ন করা। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ৩৮ তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় প্রজেক্ট প্রদর্শনীতে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে প্রথম ও বিভাগীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন ও পদক প্রাপ্তি। কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ৩৯ তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় প্রথম স্থান অধিকার ও পদক প্রাপ্তি। এছাড়া দৈনিক ইত্তেফাকসহ দেশের বিভিন্ন অনলাইন ও অফলাইন প্রচার মাধ্যমে মণিপুরি বিজ্ঞান প্রজন্মের খবর প্রকাশ।
লক্ষ্য বাস্তবায়নে বিবেচ্য বিষয়সমূহ:
সুবিধা:
১. বিভিন্ন ক্যাম্পেইন, কর্মশালা তথা বিজ্ঞান উৎসবের ভেন্যু নির্বাচনে 'দয়াময় সিংহ উচ্চ বিদ্যালয়' এর স্কুল কমিটি তথা প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক বৃন্দের সার্বক্ষণিক সহযোগীতা।
২. শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ স্কুলের শিক্ষকদের মাধ্যমে নিবন্ধনের সুযোগ পাওয়ায় কোন ধরণের অপপ্রচার ও ভুল তথ্যে বিপদগ্রস্ত হবার কোন সুযোগ থাকছে না।
৩. প্রজন্মের কার্যক্রমগুলো স্কুল,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত বন্ধে পরিচালিত হওয়ায় এবং নিবন্ধন ফী অপেক্ষাকৃত কম হওয়ায় সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হচ্ছে।
অসুবিধা:
১. স্বার্থান্বেষী মহলের কান্ডজ্ঞানহীন ও বিবেকবর্জিত বিরোধীতা।
২. ব্যক্তিগত অসুবিধাজনিত কারণে দক্ষ প্রশিক্ষকদের সর্বদা কাছে না পাওয়া।
সবল দিক:
মেধা,উদ্যম ও সততার সমন্বয়ে গঠিত স্বেচ্ছাসেবক দল।
স্বেচ্ছাসেবকরা বাংলাদেশের বিখ্যাত সব সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নরত
থাকায় শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব বিষয়ে পারদর্শীদের কাছ থেকে সরাসরি শেখার সুযোগ পাচ্ছে।
দুর্বল দিক:
প্রচারণার অভাব, সংগঠনের আর্থিক সচ্ছলতা নিশ্চতকরণ।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা:
প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবক নিজ নিজ কাজের বিবরণী ও জবাবদিহি (প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে) সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামের জন্য নির্বাচিত অস্থায়ী কমিটির নিকট দিতে বাধ্য।
উপসংহার: সবশেষে, নানান চড়াই-উতরাই পেরিয়ে চতুর্থ বর্ষে পদার্পণ করতে যাচ্ছি আমরা । যাত্রাপথের এই তিন বছরে তীব্র কাটাছেঁড়া চালিয়ে আমরা ঠিক কতোটা সফল কিংবা কতোটা ব্যর্থ - সেই তুলনায় যাচ্ছি না । আলবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন, সকল স্থিতিই আপেক্ষিক, সকল গতিই আপেক্ষিক । তবে, একটু ফ্ল্যাশব্যাকে পেছনে ফিরে গিয়ে আজকের দিনটাকে দেখলে ব্যক্তিগতভাবে অদ্ভুত এক আনন্দ পাই আমরা । খানিকক্ষণ ভাবলেই চোখে জল আসার মতো অবস্থা হয় । মণিপুরি বিজ্ঞান প্রজন্ম - এই তিন শব্দে উপসংহার হিসেবে যা লেখা আছে, এর পেছনের পরিশ্রমের গল্পটার পরিসংখ্যান লেখা নেই । কনকনে শীতের রাতের হিম ঠান্ডায় এলাকা যখন ঘুমে নিস্তেজ, সব আরাম ছেড়েছুড়ে দিয়ে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত একদল পাগুলে ছেলেমেয়ে অবিরাম খেটে যাচ্ছে পরের দিনটাকে কিভাবে আরেকটু ভালো করে সাজানো যায় এই প্রস্তুতিতে । এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিই-বা হতে পারে ? এমনও অনেক দিন গেছে, মধ্যরাতে বাড়িতে ফিরতে হয়েছে তুমুল বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে বা যেতে না পেরে বাকি রাতটুকু কাটাতে হয়েছে স্কুলরুমের বেঞ্চে শুয়ে । ভোরেই আবার বুক ধুকপুকানিতে আড়মোড়া ভুলে লাফিয়ে উঠে পড়তে হয়েছে । সকালে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসা একঝাঁক নতুন প্রজন্মের কৌতুহলী ও আনন্দিত চোখমুখ আবার নিমিষেই ভুলিয়ে দিচ্ছে সব পরিশ্রমের কষ্ট । এটাকে আমরা ঠিক কিভাবে ব্যাখা করবো, কে জানে !
আমরা স্বপ্ন দেখি । সময়ের নিয়মেই আমাদের এই প্রজন্ম থাকবে না, আরেক প্রজন্ম আসবে । এভাবেই মণিপুরি বিজ্ঞান প্রজন্ম চলুক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে । ভালোবাসায়, সফলতায় কিংবা ব্যর্থতায় - একসাথে ।
হয় । মণিপুরি বিজ্ঞান প্রজন্ম - এই তিন শব্দে উপসংহার হিসেবে যা লেখা আছে, এর পেছনের পরিশ্রমের গল্পটার পরিসংখ্যান লেখা নেই । কনকনে শীতের রাতের হিম ঠান্ডায় এলাকা যখন ঘুমে নিস্তেজ, সব আরাম ছেড়েছুড়ে দিয়ে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত একদল পাগুলে ছেলেমেয়ে অবিরাম খেটে যাচ্ছে পরের দিনটাকে কিভাবে আরেকটু ভালো করে সাজানো যায় এই প্রস্তুতিতে । এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিই-বা হতে পারে ? এমনও অনেক দিন গেছে, মধ্যরাতে বাড়িতে ফিরতে হয়েছে তুমুল বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে বা যেতে না পেরে বাকি রাতটুকু কাটাতে হয়েছে স্কুলরুমের বেঞ্চে শুয়ে । ভোরেই আবার বুক ধুকপুকানিতে আড়মোড়া ভুলে লাফিয়ে উঠে পড়তে হয়েছে । সকালে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসা একঝাঁক নতুন প্রজন্মের কৌতুহলী ও আনন্দিত চোখমুখ আবার নিমিষেই ভুলিয়ে দিচ্ছে সব পরিশ্রমের কষ্ট । এটাকে আমরা ঠিক কিভাবে ব্যাখা করবো, কে জানে !
আমরা স্বপ্ন দেখি । সময়ের নিয়মেই আমাদের এই প্রজন্ম থাকবে না, আরেক প্রজন্ম আসবে । এভাবেই মণিপুরি বিজ্ঞান প্রজন্ম চলুক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে । ভালোবাসায়, সফলতায় কিংবা ব্যর্থতায় - একসাথে ।
লেখক
স্বরূপ কুমার সিংহ
তিলকপুর, কমলগঞ্জ, বাংলাদেশ।
0 Comment "মণিপুরি বিজ্ঞান প্রজন্ম - স্বরূপ কুমার সিংহ"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন