শারদীয় রাসলীলা - শুভাশীষ সিংহ (নিংশিং চে - ২০১৬)


শারদীয় রাসলীলা
শুভাশীষ সিংহ

আদি কবি মহর্ষি কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদ ব্যাস বিবচিত শ্রীমদ্ভাগবত ১০ম (দশম) স্কন্দও ২৯(ঊরত্রিশ) অধ্যায়েত্ব ৩৩ অধ্যায়র মোট ১৭২ শ্রোক তথা শ্রীমহাভাগবত্ ত্রিপঞ্চাশোধ্যায়ঃ মোট ৫৩ শ্রোকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণর শারদীয় পূুর্ণমা মহারাস লীলা বর্ণিত আছে ।  শ্রীমদ্ভাগবতর পাঁচ অধ্যায়ওে “রাসপঞ্চম্” অধ্যায় বুলিয়া আখ্যা দেছি।  তদুপরি যোগীঋষি, মুনিঋষি, দেবতা হাবিরে মুক্তির একমাএ মার্গ তথা ঈশ্বও প্রাপ্তির মহাভাগু বুলিয়া শ্রদ্ধারে প্রকাশ করেছি।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণই শ্রীমতি রাধিকা তথা ব্রজগোপিনীর লগে নিকুঞ্জ নিভৃতি বনর যমুনা পাড়ে শরৎকালর পূর্ণিমা রাত্রিকালীন যে লীলা-খেলার ভাবর আদান প্রদান প্রদান প্রেম বিনিময় করেছি ঔহানেই শারদীয় মহারাসলীলা।
রাসলীলা শ্রীমতি রাধিকা তথা ব্রজগোপিনীর নিস্কাম ভক্তি ত্যাগ ও সমর্পণে আত্মা-পরমাত্মার মহামিলনর প্রয়াস উদ্দীপনা।  যেপেইত বাহ্যিক দৈহিক সম্বদ্ধ লেশমাত্র ভাব নেই।
তদুপরি শ্রীমদ্ভাগবতে প্রকাশ ব্রজর বৃক্ষ, লতা, গুল্ম, পশু-পক্ষী, সরোবর হাবি পূর্ব্ব জন্মর কৃত কর্মও পূর্ণফলের বর পেয়া ব্রজে জরম অসিতা ভগবান শ্রীকৃষ্ণর সেবা পানার নিমিত্তে। বিশেষভাবে শ্রীমতি রাধিকা তথা ব্রজগোপীর ভগবান শ্রহরিয়ে নিজর দেহাগত্ব সৃজন করেছে লীলার কারণে।  ভাগবতে প্রকাশ।
নিগুঢ় তত্ত বিচারে সমস্ত সৃষ্টি জগত তথা জীবজন্তু.বৃক্ষ, লতা, গুল্ম, মানব-দানব, ঋষিমুনি হাবিরে জগত ঈশ্বর শ্রীহরিয়ে সৃষ্টি করেছে।  প্রভু আছে বালিয়া সৃষ্টি আছে।  প্রবুরাং আশ্রয় করিয়া যত গ্রহ, নক্ষত্র, উপগ্রহ বিরাজ করিয়া আছি। তথা প্রভু হৃদয়ে প্রাণ রূপে অবস্থার করিয়া আছে বুলিয়া জীব জীবিত।  নাইলে মৃত।  বাহিরে বায়ু রূপে থায়া, জগতে থায়া জগতে ধারণ করিয়া আছে।
ব্রজর শ্রমতি রাধিকা তথা ব্রজগোপীনি হাবিয়ে হারপাছিলা যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সমস্ত সৃষ্টি জগতর ঈশ্বর।  প্রভুয়ে হাবিওে নিয়ন্ত্রণ করের।
রাসলীলাও প্রভুর ইচ্ছায় শরৎকালর প্রফুল্ল রজনী পূর্ণিমা তিথি উপস্থিত।
বৃন্দাবনর তরু-লতা রবপল্লব (নুয়াপাতা) তথা নানা রং বিরঙর ফুল প্রস্ফুটিত অয়া চারিদিকে গন্ধয় আমোদিত।  ভগবান শ্রীকৃষ্ণই বস্ত্রহরণ করিয়া ব্রজ গোপীনি তথা শ্রমতি রাধিকারে যে প্রতিশ্রুতি দেছিল ঔ য়্যারী প্রভুর মনে উদয় স্কন্ধর ১ম শ্রোকে শুকদেব মুনিয়ে পরীক্ষিত মহারাজারং প্রকাশ কালে- 

শ্লোক নং – ১ 
ভগবানপি তা রাত্রীঃ শারদোৎফুল্লমল্লিকাঃ। 
বীক্ষ্য রম্ভং মনশ্চক্রে যোগমায়ামুপাশ্রিতঃ  ॥১॥
ভগবান শ্রীকৃষ্ণই রাসলীলা করানির ইচ্ছায় নিজে সৃজন করেছে যোগমায়ারে আহ্বান করিয়া (ডাহিয়া) য়্যাথাং দিল ব্রজবাসী  হাবিওে গভীর নিদ্রায় (ঘুমে) জাপদিয়া থনারকা।  অন্যদিকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণই বৃন্দাবনর তমাল ব্রক্ষ ডালে বহিয়া শ্রীমতি রাধিসা তথা ব্রজগোপীনিরে উদ্দেশ্য করিয়া মোহন বাঁশী বাজানি (রহারি) অকল।  মোহন বাঁশীর এতই গুণ বংশীধ্বনি ব্রজগোপীরি ছাড়া অন্য কোনগও না হুরতারা।  বাঁশীর সুর হুনিয়া ব্রজগোপীনির হৃদয়ের মধুর প্রেমভাব জাগিয়া উঠের।  প্রভু দর্শনর নিমিত্তে উন্মাদিনী প্রায়।  হিতাহিত জ্ঞান শূণ্য।  গভীর রাতি হাবিয়ে গৃহ ব্যাগ করিয়া নিকুল্লা।  সখী হাবিয়ে প্রভুর বংশধ্বিনি অনুসরণ করিয়া  হা নাথ হা গোবিন্দ বুলিয়া কাল - বিলম্ব (ডিল) না করিয়া যাত্রা করলা।  শ্রীমতি রাধিকাওে মুঙে দিয়া যিতেগা যিতেগা অবশেষে নিগুঢ় বনে ভগবান শ্রকিৃষ্ণর দর্শন পেইলা। 
 ভগবান শ্রীকৃষ্ণই ব্রজগোপী তথা শ্রীমতি রাধিকারে দেহিয়া সম্বোধন করিয়া মাতানি অকরল  -
শ্লোক নং – ১৮
স্বাগতং বো মহাভাগ্যঃ প্রিয়ং কিং করবাণি বঃ।
ব্রজর্সনাময়ং কচ্চিব্রতাগমনকানণম ॥
হে ভাগ্যবতী ব্রজগোপী বৃন্দ তোমার আগমন শুভ অক। ব্রজর হাবি কুশলে আছি নাই? তদুপরি ছলনা করিয়া শ্রীমতি রাধিকা তথা ব্রজগোপীরিরে আংকরানি অকরল - হে, ব্রজগোপী  ব্রজঙ্গরা বনমধ্যে আহানির অভিপ্রায় কিনা ?  কারণ এ গভীর রাতি বনর ভিতরে হিংস্র জন্তু পরিপুর্ণ যে কোন মুহূতে বিপদ আইতে পারে।  গতিকে অবলা জাতি আহানি থক নেয়ছিন।  তদুপরি সৌ, জিবুত, মালক, বাপক, স্বামী  তথা কর্ম আদি ত্যাগ করিয়া আহেছ।  হয়তো তানু তোমাে বিছারে থাইবা।
শ্লোক নং – ২০
মাতরঃ পিতরঃ পুত্রা ভ্রাতরঃ পতয়শ্চ বঃ।
বিচিন্বন্তি হাপশান্তো মা কৃঢ্বং বন্ধু সাধ্বসম্  ॥২০॥

তদুপরি কুলনাবী অয়া অন্য পতি সেবা ধর্স্মসঙ্গত রাগৈ।  ধর্ম্ম পরায়ণ নারীর কর্ত্তবা অইলতাই নিজর পতি তথা সৌ জিপুতর সেবা বারো গৃহকর্ম সম্পাদন করানি অন্য পতি সেবা মহাপাপ।  গতিকে নিজর গৃহে গমন কর।
শ্লোক নং - ২৬
অস্বর্গ্যমযশস্যঞ্চ ফল্পু কৃচ্ছ্রং ভয়াবহম॥
জুগুস্পিতঞ্চ সর্ব্বত্র হ্যৌপ পত্যং কুলস্ত্রিয়াঃ ॥২৬॥

অবশেষে ব্রজগোপীনি ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সঙ্গ কামনা বঞ্চিত অন্য লেপইল ঔহান দেহিয়া আহির পানি মুছিয়া খানি অভিমান (য়ারৌ) করিয়া আবেগে নানা বাক্য করিয়া প্রণনাথ শ্রীকৃষ্ণওে সম্বোধনে কাদেঁ কাদেঁ মাতানি অকরলা।
শ্লোক নং - ৩০
প্রেষ্ঠং প্রিয়েতরমিব প্রতিভাষমাণম্
কৃষ্ণং তদথবিনিবত্তিতসর্ব্বকামাঃ।
নেত্রে বিমৃজ্য রুদিতোপহতে স্ম কিঞ্চিং
সংরম্ভদ্গদইগরোহশ্রুবতানুরক্তাঃ ॥৩০॥

হে গোবিন্দ এ হেন (এসাদে) নিষ্ঠুর বাক্য মাতানি থক নেই।  আমি সমস্ত বিষয় ত্যাগ (এরাাদিয়া) করিয়া তোর শ্রীচরণ কমলে দেহ, মন, হাব্বি সপেছি।  আমারতা বুলতে কিত্ত্বাও নেই।  সমস্ত জগতর প্রভু স্বয়ং তি বাকী পতি অবলস্বন (নিসিত্ত) মাত্র।  আমার দেহ এগো প্রভু তোরগ।  গতিকে প্রভু আমাওে পাদপদ্শ সোবত্ব বঞ্চি নাকরিদি। কৃপা করিয়া শ্রীচরণ সেবা দে আমি হাবি প্রভুর বিনামূল্যও দাসী।  প্রভু সেবাই আমার ধর্ম।
শ্লোক নং- ৩১
মৈবং বিভোহর্হতি ভবান্ গদিতং নৃসংশং
গন্ত্যজ্য সর্ব্ববিষয়াংস্তব পাদমূলম্
দেবো যথাদিপুরুষো মুমুক্ষুন্ ॥

    হে জগত পতি শ্রীহরি ব্রহ্মা আদি দেবগনেও যেগর কৃপাদৃষ্টি পানার অভিলাষী। স্বয়ং জগত মাতা লক্ষীদেবী প্রভুর বক্ষত (বুকগত) স্থান পেয়াও প্রভুর পাদ যূগল আত্ম সমর্পণ করেছে। আমিতে তুচ্ছ শুধু প্রভুর পাদ পন্ম রেনু তথা পদাশ্রয় আকাংক্ষী।

শারদীয় রাসলীলাঃ
                      শ্রীমহাভগবতম্
                                      -ব্যাসদেব বিরচিত
প্রথম শ্লোকেত্ব - তৃতীয় শ্লোক পেয়া নারদে মাতেছেঃ

শ্লোক নং -১
সংক্ষেপেণ সমাশংস পার্ব্বতীপ্রাণবল্লভ।
দেব্যাঃ শ্রীকৃষ্ণরূপায়াশ্চরিতং মে মহেশ্বও ॥১॥
শ্লোক নং -২
যথা বিহরণঞ্চক্রে গোকুলে সহ সাধয়া।
ন্যপাতয়ংশ্চাপি যথা ভূভরান্ সূবহূন রণে ॥২॥
শ্লোক নং -৩
অন্যত্রাপি কুরুক্ষেত্রে সাক্ষাদ্বাপিচ্ছলেন বা
যথাবাৎসাৎক্ষিতৌ সব্বৈ কৃষ্ণভির্যদুবংশজা।
আরুরোহ পুনঃ স্বর্গং যথা তদপি শংশমে ॥

বসন্ত রাসলীলাঃ
শ্লোকঃ
মধুরাত ঋতায়তে মধু ক্ষরন্তি সিগ্ধবাঃ ॥

    ঋতুরাজ বসন্ত (ফাল্গুন-চৈত্র) সমাগতে প্রকৃতি মাতৃ নূয়া ফিজেত অলংকার পরিহিতা নব যৌবনা কুলবধু যেসাদেরূপ লাবণ্য পরিপূর্ণা মনোরমা। দর্শনে চিত্ত আকর্ষণ করের।  তাদৃশ বৃন্দাবনে যমুনা তটস্থ বৃক্ষ তাল, তমাল, কদম্ব, শেফলি,কেতকী, কামিনী,জাতি ,যোথি, মালতী, মল্লিকা তথা গুল্ম, লতা আদিয়ে নব পল্লব, পুষ্পে বিভূষিত।  প্রভুর সেবার নিমিত্তে লিবি মলয়া পব নর অবলম্বনে মহানন্দে হেলিয়া নাচিয়া সুগদ্ধি বিতরণে মত্ত।  কোকিল, কোকিলা, নানা বিহঙ্গ তথা ময়ুরা ময়ুরী বৃক্ষর মাঝে মাঝে মহানন্দে রতির নিমিত্তে পুচ্ছ প্রসারিত করিয়া নানা নৃত্য কৌতুক প্রদর্শন করতারা।  মৌমাছি মধু লোভে গুণ গুণ রবে গাছে গাছে ফুলে ফুলে বুলে বুলে মধু পিনাত মত্ত।  নির্মল আকাশ মাঝে মাঝে মেঘ রাজি চন্দ্র, তরার লগে কৌতুকে লুকি খেলতারা।  কি মনোরম দৃশ্য।  ঔহান দেহিয়া ভগবান কৃষ্ণ হৃদয়ে মদন জাগের।
বসন্ত ঋতু চৈত্র মাস রজত পূর্ণিমা তিথি উপমিস্থত।  ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হৃদয়ে বৃন্দাবনর যমুনা তটস্থ মধুবনে ব্রজর গোপী তথা শ্রীমতি রাধিকার লগে বসন্ত রাস কেলির ইচ্ছা উদয় অর।  যোগ মায়া দেবীওে আহ্বান করিয়া নিবেদন করের যে ব্রজর যত গোপী, কুল বধু, স্বামী তথা অন্যান্য সর্ব্বজনরে নিগুঢ় ঘুমে অচেতন কওে দেনার।  প্রভুর আজ্ঞায় (য়্যাথাঙে) যোগমায়া কাল বিলম্ব না করিয়া প্রভুর ইচ্ছা পুরণর নিমিত্তে মায়ার প্রভাবে যত ব্রজবাসীওে গভীর নিদ্রায় জাপদিয়া অচেতন করিয়া থইল।
সময় জানিয়া ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তমাল বৃক্ষ ডালে বহিয়া মোহন বাঁশী ব্রজ গোপী তথা শ্রীমতি রাধিকা সম্বোধনে পঞ্চ রন্দ্রে বাজানি অকরল।  চরণে নপুর কটিতে কিংকিনী জন জন রবে তাল মিলেয়া রহানি অকরলা।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণর মোহন বাঁশী এতই গুণ বাঁশীর সুওে ব্রজ গোপীর মন হনণে, পাগল প্রায়।
রাত্রি প্রায় শেষ মুঙবারা ঙালনি অকরল, সিঙ্গারেই, কামিনী ফুল কেলয়া পরারি অকরল।  শ্রীমতি রাধিকা সখী হাবিয়ে অত্যন্ত ব্যাবুল।  প্রণনাথ শ্রীগোবিন্দ দর্শও রাপেয়া কাঁদিয়া কাঁদিয়া বিলাপ আহান কওে ছিবিয়া বেলানি অকরল শ্রমতি রাধিকাই। 
এমন সময়ত ভগবান শ্রীকৃষ্ণ চন্দ্রাবলী লগে নৃত্য বিহার সমাপ্ত করিয়া হেলিয়া দুলিয়া রাধারাণী কৃঞ্জ উদ্দেশ্য করিয়া আহানি অকরল।  দূরেইত্ত্ব শ্রীমতি রাধিকা তথা সখী হাবিয়ে দেখলা। শ্রীমতি রাধিকা মদন কুঞ্জর খানি দূরেইত সেচিয়া বৃক্ষতলে বাহিয়া দুর্জয় মনে বহিলি। সখী হাবি কৃঞ্জর ভঙ্গত মত্ত।  ভগবার শ্রীকৃষ্ণ কুঞ্জ উপস্থিত। সখী হাবিয়ে পখগো খেপকরিয়া ভগবান শ্রীকৃষ্ণওে কৃঞ্জত আহিতে বাধা দেনা অকরলা।  ভগবান শ্রীকৃষ্ণ রাধার প্রেমে ব্যাকুল চিত্ত উপায় নাপেই নাপেয়া কাঁদিয়া কাঁদিয়া করজোওে মাতানি অকরল ভগবান শ্রীকৃষ্ণই সখী হাবিরে।  প্রভুর এহেন দুঃখ দেহে নূয়ারিয়া পথগো এরা দিলা।  প্রভু আহিয়া শ্রীমতি রাধিকাওে দর্শন করের।  কৃষ্ণ অবিহনে শ্রীমতি রাধিকা দুর্জয় মান রত।  প্রভু হাতজোর করিয়া শ্রীমতি রাধিকাওে নিবেদন করানি অকরল।  কোন প্রকারে রাধার মান ভঙ্গ কওে নূয়ারল। অন্যদিকে নানা বিহঙ্গ রজনী অবসান দেহিয়া কুজন করানি অকরলা।  পূর্ব্বে ভনু প্রায় উদয়মান। প্রভু উপায় নাপেয়া অবশেষে নিজ মস্তকে পরিহিত মোহন চুড়া হাতর বাঁশী খলিয়া শ্রীমতি রাধিকার চরণে কাতকরিয়া নিবেদন করানি অকরল।
শ্লোক  - ৬
(গীত গোবন্দসম্) দশম সর্গ মুগ্ধ মধাব
স্থল কমল গঞ্জনং হৃদয় রঞ্জরম্
জনিত রতি রঙ্গ পরভগম।
ভণ মসৃণ বাণি করবাণি মরণদ্বয়ম্
সরল লসধলক্তকরাগম্ ॥
শ্লোক -৭
স্মর গরল খগুনং মম্ শিরসি মগুনম্
দেহি নং পল্লব গদারম ॥
জ্বলতি ময়ি দারুণো মদন কদনারুণো (মদন কদনানলো)
হরত্ব তদুপাহিত বিকারম ॥

ভগবান শ্রীকৃষ্ণর বিলাপ শ্রবণে শ্রীমতি রাধিকা আর মান করিয়া থা নুয়ারলি রাধাই মান ভঙ্গ করিয়া ভগবান শ্রীকৃষ্ণরে আলিঙ্গন করল।  রাধাকৃষ্ণ যুগল রূপ দর্শণে সখী হাবিয়ে মহানন্দে নৃত্য সঙ্গীত আরম্ভ করলা।
অবশেষে সময় বুঝয়া ভগবান শ্রকৃষ্ণই রাসকেলি সঙ্গীত ভঙ্গও সঙ্কেত করল।  সঙ্কেত পেয়া শ্রীমতি রাধারাণী ধীরে ধীরে সখী হাবির লগে নৃত্য সঙ্গীত করে করে  গৃহাগমণ করানি অকরল।
মতান্তরে -
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সঙ্গ পেয়া শ্রীমতি রাধিকা তথা গোপীর হৃদয়ে অহং ভাব জাগানিয়ে ভগবান অর্ন্তযামী দর্প চূর্ন অভিপ্রায়ে অর্ন্তদান অয়া চন্দ্রাবলী গমন করিয়া চন্দ্রবলী লগে বিহার করেছে।
চন্দ্রবলী কুঞ্জ মদন নিয়াম দূওে নেয়ছিল।  দূরেইত্ব দেহা পেইতারা। ঔহান দেহিয়া অর্থাৎ ভগবান শ্রীকৃষ্ণই সাধা তথব্রজগোপীওে এ তত্ত্ব জ্ঞান দান করেছে।  যে প্রভু সর্বত্র সর্বজনের হৃদয়ে বিরাজিত। প্রভু কারও দাস নাগই। হাবিয়ে প্রভুর দাস।  সর্বজনর নিমিত্তে প্রভু।
বসন্ত রাস প্রধানত বিষ্ণুপুরাণ, পদ্মপুরাণ, ব্রহ্মবৈর্তপুরাণ, গর্গসংহিতা, চৈতন্যচরিতামৃত, শ্রীশ্রীগীতগোবিন্দম্ বৃহৎ সাবাবলী, তথা চন্দিদাস, বিদ্যাপতি, মনোহর দাস, রঘুনাথ দাস, শ্ররূপ গোস্বামী, তুলসী দাস, কৃষ্ণ দাস আদি বৈষ্ণব কবি বিরচিত নানা গ্রস্থর কবিতার মূল সারাংশ মঞ্চয়ে মহারাজা চন্দ্রকীর্ত্তি সিংহ গিরকে তৎকালর মণিপুরর বেদক্ষ ব্রহ্মণ, শাস্ত্রজ্ঞ সহায়ত সঙ্গীত নৃত্য রচনা করিয়া বসন্ত রাস করেছে।  পরবর্ত্তীকালে বঙ্গর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরে শান্তি নিকেতনে মনিপুরী নৃত্যও শাখা খুলিয়া সমস্ত বিশ্ব বাসীরাং পরিচয় করে দেছে।
ইদানিং গিরকে লেকং বা নাঙর পুস্তিকা আহানাত উল্লেখ করা প্রসঙ্গত গিরকে স্পষ্ট বিবরণীত আমার সমাজর যে যে ওঝা, গুরুয়ে মণিপুরী সংস্কৃতি এহানরে বিশ্ব জগতে প্রচার করিয়া গেছিগা ঔ প্রতিবেদন সমাজর সুধী মগুলীর জ্ঞাতার্থে দেনা অইল ।


THE MOST WELL KNOWN PERFORMERS AND TEACHERS ARE THE (LATE) GURU BIOIN SINGAH AND GURU SINGHAFEET AND HIS WOFE CHARUSHEELA.
          Guru Nileshwar Mukherjee from Bnagladesh and Guru Senarik Rajkumar from India are well known to Manipuri society as with them the new department of Manipuri Dance was created in the santiniketon in the early thirties the present noted Manipuri dancers of Indian and Bangladesh, as well as international fame are Hanjaba Guru Bipin Singha, Guru Chandrakanta singha, Nartancharya Guru Nilmadhab Mukherjee, Guru Hari chanran singha, bimbhabati Debi, Kalabati Debi etc. Most of them have their dancing tours on the Manipur to England, America, Russia, Australia, Japan,
Germany, Italy, France, Honkong, Thailand, Bhutan, Srilanka etc. nad earned great andme and fame for their style. Aming Non-manipuri dancers, the names of Preeti Patel, Shruti Banerjee, Tamanna Rahaman. In Mumbai the famous performersand teaches are the Jhaveri sisters –Nayana, suverna, Darshana and Ranjana Javeri. They comtinie this tradition at their institution at their institution “Manipuri Nartanalaya” in Manipur, Calcutta and Mumbai.
These artiest have spread the bauty of Manipuri dance all over the world and  have been honoured both nationally on this subject.

0 Comment "শারদীয় রাসলীলা - শুভাশীষ সিংহ (নিংশিং চে - ২০১৬)"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন